কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে র্যাবের হাতে গ্রেফতার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ
যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের সহযোগী এনামুল হক আরমানকে
ফেনী থেকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়েছে।
রোববার রাত পৌনে
১১টার দিকে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে র্যাব- ৭ তাকে ফেনী থেকে
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে আসে। কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার
মো. ফোরকান ওয়াহিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মাদক সেবনের
অভিযোগে আরমানকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ফেনী কারাগার থেকে রাতে
আমাদের কারাগারে নিয়ে আসে র্যাব -৭ এর একটি টিম। এছাড়া ১৪০ পিস ইয়াবা
উদ্ধারের ঘটনায় র্যাব বাদী হয়ে আরমানের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় পৃথক
আরও একটি মামলা করেছে।
এর আগে ফেনীতে নেয়া হয় আরমানকে। রোববার
সন্ধ্যায় কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ভাষা শহীদ সালাম স্টেডিয়ামে
হেলিকপ্টারযোগে তাকে নিয়ে আসেন র্যাব সদস্যরা।
একাধিক
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, হেলিকপ্টার থেকে স্থলপথে নিয়ে আরমানকে র্যাবের ফেনী
কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। রাতে তাকে নিয়ে একাধিক স্থানে অভিযান পরিচালনা করা
হবে বলেও ওই সূত্র জানিয়েছে। তবে এসব বিষয়ে র্যাবের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট
কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ফেনীর র্যাব-৭ এর সহকারী পুলিশ সুপার
জুনায়েদ জাহেদী জানান, পুরো বিষয়টি ঢাকা থেকে মনিটরিং করা হচ্ছে। তাই
আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।
শনিবার (৫ অক্টোবর) ভোরে জেলার
সীমান্তবর্তী ও জামায়াত অধ্যুষিত আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামের
মনির চৌধুরীর বাড়ি থেকে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাট ও আরমানকে
গ্রেফতার করে র্যাব। বাড়ির মালিক মনির চৌধুরী স্টার লাইন পরিবহনের মালিক ও
ফেনী পৌরসভার মেয়র হাজী আলা উদ্দিনের ভগ্নিপতি। মনির চৌধুরী নিজেও স্টার
লাইন পরিহনের একজন পরিচালক। পরিবহনের ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার কারণে আলা
উদ্দিন ও মনির চৌধুরীর সাথে ঘনিষ্ঠতা ছিল সম্রাট ও আরমানের। গ্রেফতারকালে
আরমান মদ্যপ অবস্থায় থাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাকে বিনাশ্রম ৬ মাসের
কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এদিকে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) আবদুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, আরমানের কাছ থেকে ১৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট
উদ্ধারের ঘটনায় র্যাব-৭ এর এসআই সজিব মিয়া বাদী হয়ে রাতে মাদক আইনে থানায়
অভিযোগ দাখিল করেছেন।
কুমিল্লা কারাগারে আরমান
