আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজ ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্টের পাশাপাশি এতে আছে ভিটামিন এ। সাধারণত ডায়াবেটিক ও স্থুলতার রোগীদের আলু খেতে নিষেধ করা হয় কারণ এতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি মাত্রায় থাকে। তবে মিষ্টি আলুতে এটি একেবারেই কম থাকে।
মিষ্টি আলু খেলে ওজন কমে, কারণ:
মিষ্টি আলুতে রয়েছে প্রচুর ফাইবার যা অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই থাকে না।
মিষ্টি আলু হজমশক্তি অর্থাৎ মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে, ফলে খাওয়া ভালোভাবে হজম হয়। গ্যাসের সমস্যা বা পেটের সমস্যা হয় না।
শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত পানি শোষণ করতে সক্ষম মিষ্টি আলু। অনেকের ওজন বেশি থাকে এই অতিরিক্ত পানির কারণেই।
শরীরে শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে মিষ্টি আলু। ফলে এক্সাসাইজ করার ইচ্ছা ও ক্ষমতা বজায় থাকে। এটি খেলে ক্লান্তিভাব আসে না সারাদিনে।
শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে মিষ্টি আলু। কারণ এতে ক্যাটালেস ধরনের অ্যান্টিঅক্সাইডের পরিমাণ বেশি। এছাড়াও রয়েছে জিঙ্ক সুপারঅক্সাইড, স্পোরামিন।
* মিষ্টি আলু সেদ্ধ করে তা খান, ভেজে নয়।
* মাইক্রোওয়েভে বেক করে খেতে পারেন।
* সালাদের সাথে একটুকরো কাঁচা আলু চাইলে মিশিয়ে খেতে পারেন।
* মিষ্টি আলু খেলে যেহেতু এনার্জি বাড়ে, তাই এক্সাসাইজ করার আগে যখন কিছু খান তাতে এটি যোগ করে নিন। বেশিক্ষণ ধরে এক্সাসাইজ করার ক্ষমতা পাবেন ফলে দ্রুত কমবে ওজন।
* সপ্তাহে রোজ না হলে ৪ থেকে ৫ দিন একটি থেকে দুটি মিষ্টি আলু খাওয়ার অভ্যাস করুন। সুস্থ থাকার সাথে সাথে ওজনও কমাতে পারবেন সহজে।